উপকারিতা
গুণসম্পন্ন মশলার মধ্যে জিরা অন্যতম। জিরা তরকারির স্বাদ বাড়ায়। কয়েক হাজার বছর আগে প্রাচীন পারস্য, ব্যাবিলন এবং মিশরীয় সভ্যতায় জিরে খাওয়ার প্রচলন ছিল। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জিরের স্বাস্থ্যসম্মত অনেক গুণ রয়েছে। জিরা হজমে সাহায্য করে, অতিরিক্ত ওজন কমায় ও লিভার ভালো রাখে। আসুন জেনে নেই জিরার উপকারিতা-
হজমে সাহায্য : জিরার হজমে সাহায্য করে। জিবার প্রভাবে বাড়ে হজমে সহায়ক উৎসেচকের ক্ষরণ। ফলে হজমের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এছাড়া জিরার জন্য যকৃৎ বা লিভার থেকে পিত্ত বা বাইল ক্ষরণ বাড়ে। এই পিত্ত-ও সাহায্য করে পরিপাক ক্রিয়ায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : জিরার দানা প্রাকৃতিক ভাবে লোহার উৎস। এক চামচ জিরারগুঁড়োয় আছে ১.৪ মিলিগ্রাম লোহা বা আয়রন।
প্রচুর পরিমানে আয়রন : জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। আয়রন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি মাধ্যমে সেলুলার স্তরে অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি করে।
রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ায় : মশলা হিসেবে জিরা সুপরিচিত। রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিরার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। সুগন্ধি এই মশলাটি আমাদের নানা অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
শক্তিশালী ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য : গবেষণায় পাওয়া গেছে জিরাতে আছে শক্তিশালী ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এটা পেট ও লিভার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব রাখতে পারে। জিরাতে বিদ্যমান এন্টি-ফ্রির্যা ডিকেলস উপাদান ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করে।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে : জিরা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে পারে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমন থেকে শরীর পায় সুরক্ষা।
কর্মক্ষমতা বাড়ায় : রক্তাল্পতা দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও চুলের জেল্লা বজায় থাকে।
Reviews
There are no reviews yet.