বাংলা বা স্থানীয় নামঃ বেল
ইংরেজি নামঃ Wood apple , Bengal Quince
বৈজ্ঞানিক নামঃ Aegle Marmelos Corr
ব্যবহৃত অংশঃ বেল ফলের শাঁস ( কচি ও পাকা) , ছাল , পাতা ও ফুল
কার্যকারিতা ও ব্যবহারঃ পাকস্থলী ও লিভারের শক্তি বর্ধক। হজমকারক , পরিপাক শক্তি বৃদ্ধি করাক, কাচা বেল মল সংগ্রাহক , আমাশয় ও ডায়রিয়ার কার্যকর , অগ্নিদীপক, স্নিগ্ধকারক, অন্ত্রের ক্ষতসারক । পাকাবেল সাধারন বলকারক,রুচিকারক, মৃদু বিরেচক, কোষ্ঠাকাঠিন্যে কার্যকর । শরীরের জ্বালাপোড়া নিবারক।
কাঁচা ও পাকা বেল পরিপাকতন্ত্রের গোলযোগ, রক্ত অর্শ্ব, পিত্তজনিত জবর,বুক ধরফর করা, অনিদ্রা, পিপাসা, শোথ, শুক্রতারল্যে উপকারী । ( তথ্য সূত্রঃ রোগ ও উদ্ভিদতত্ত্ব ( ৪-৬ খন্ড) , লেখকঃ হাকীম এম এ কালাম পাটোয়ারী , প্রকাশকঃ ক্যামরুজ পাবলিকেশন্স , সংস্করনঃ জুলাই ২০০৮ , পৃষ্ঠাঃ ১১০)
সেবন মাত্রাঃ
১) শুকনা বেলের চুর্ন ৩ থেকে ৯ গ্রাম , তাজা ও পাকা বেল ২০ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত সেবন করা যায় ( তথ্য সূত্রঃ ইউনানী মেটিরিয়া মেডিকা , লেখকঃ প্রিন্সিপ্যাল আবদুর রব খান , প্রকাশকঃ বিসিরাম প্রকাশনী , ৩য় প্রকাশঃ ৫ইং ডিসেম্বর ২০০৩ইং , পৃষ্ঠাঃ.৩৪৮)
২)বেল শুঁঠ / শুকনা বেলের চূর্নঃ ৩ থেকে ৫ গ্রাম , তাজা বেলের শাঁস ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম ( তথ্য সূত্রঃ প্রাথমিক চিকিৎসায় ভেষজ , লেখকঃ ডাঃ আলমগীর মতি , প্রকাশকঃ মডার্ণ প্রকাশনী , ৩য় প্রকাশ আগস্ট ২০১৫ , পৃষ্ঠাঃ১৩৮ )
খাওয়ার সাধারণ নিয়মঃ রাতে ১ চামচ পাউডার হাফ গ্লাস পানিতে ভেজাবেন এবং সকালে শুধু পানিটুকু খাবেন ও নিচে জমানো অংশ ফেলে দিবেন। সকালেও একই নিয়মে ভেজাবেন ও একই নিয়মে রাতে খাবেন। অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও বিরূপ ক্রিয়াঃ নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া নাই।
Reviews
There are no reviews yet.